আগামীকাল বুধবার (২ এপ্রিল) থেকে ভারতের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত রফতানি শুল্ক বলবৎ হতে যাচ্ছে। ভারতের লাগাতার চেষ্টার পরও বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের কোনো আভাস দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাড়তি শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কঠিন হবে ভারতীয় পণ্য বিক্রি।তবে এখানেই থামছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিবাচক সাড়া না দেয়া পর্যন্ত তার দেশকে খেসারত দিয়ে যেতে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পুতিনকে শায়েস্তা করতে ট্রাম্পের নয়া চাল হলো রাশিয়ার খনিজ তেল রফতানিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা। ট্রাম্প বলেছেন, যেসব দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল আমদানি করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র সেই সব দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি মতো মার্কিন প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে বিপদ বাড়বে ভারতের। কারণ ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল আমদানি করে। গত আর্থিক বছরে রাশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে ভারত। কারণ, উপসাগরীয় দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়া থেকে আমদানি খরচ কম পড়ে।
প্রতিবেদন মতে, ভারত যাতে রাশিয়া থেকে আনা তেল শোধনের পর তা বিশ্ব বাজারে বিক্রি করতে না পারে তার জন্য বাধা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নয়াদিল্লির তৎপরতায় সেটা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষের আরও এক কারণ হলো, রাশিয়া ও ভারত মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুবল ও রুপিতে লেনদেন করছে।
ট্রাম্পের কৌশল হলো পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে রাশিয়ার তেল রফতানিতে বাধা সৃষ্টি করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত রফতানি শুল্ক চাপালে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হবে নয়াদিল্লি। রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র: দ্য ওয়াল